LearningHomebd.Com

Medical Admission Guideline And Exam's Mark Distribution (মেডিকেল ভর্তি প্রস্তুতি ও পরীক্ষা সম্পর্কে যাবতীয় তথ্য দেখে নিন)

 

মেডিকেল বা ডেন্টাল ভর্তি পরীক্ষা সম্পর্কে কিছু কথাঃ
প্রায় অধিকাংশ ছাত্র-ছাত্রীর একমাত্র স্বপ্ন মেডিকেল বা ডেন্টাল বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াবে । আমরা স্বপ্ন দেখি কিন্তু সে স্বপ্ন পূরন করতে আমাদের কি কি করা উচিৎ সেটা কি আমরা জানি ?
অনেকেই জানে আর যারা জানে তারাই নিজের লক্ষে পৌঁছাতে পারে । আপনার স্বপ্ন যদি সত্যি এটাই হয় যে আমি একজন ডাক্তার হবো তবে আপনি নিজেই বুঝবেন সেটা হতে হলে আপনার কি করা
উচিৎ ।
বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষায় নিজেকে টিকিয়ে রাখার জন্য আপনার খুব বেশি মেধাবি হবার দরকার নেই যেটা বেশি পরিমানে থাকার দরকার সেটা হলো নিজের ইচ্ছা শক্তি ।
মেডিকেলে চান্স পাওয়ার জন্য Biology, Chemistry, Physics, English, General Knowledge এই  বিষয়গুলি ভালো করে পড়তে হবে । যেহেতু Biology থেকে বেশি প্রশ্ন আসে ও প্রশ্ন কঠিন হয় তাই মেডিকেলে চান্স পাওয়ার জন্য এই বিষয়টিকে আয়ত্ত করতে হবে ।
বিগত পরীক্ষার মানবন্টন দেখে নিন -
 
    Biology 30
    Chemistry 25
    Physics 20
    English 15
    General Knowledge; History and culture of Bangladesh 6
    International Affair 4

📢 মেডিকেলে চান্স পাওয়া একজন শিক্ষার্থির কথাঃ
যেভাবে চান্স পেলামঃ
একটি স্বপ্ন আজ দেখলাম আর সেটা কালকেই পূরন করে ফেলবো এমনটা কখনোই সম্বভ না । শুধু মেডিকেল বলে কথা বলছি না পৃথিবীতে ভালো কিছু করাই কঠিন । যে বা যারা মেডিকেলে পড়ার সুযোগ পায় তাদের কাছে শুনে দেখবেন সকলে একই কথা বলবে । আমি যখন ৯ম শ্রেনীতে উঠলাম আমার বাবা-মা আমাকে বিজ্ঞান বিভাগ নিতে বললো । আমি তাদের কথা মত Science নিয়ে পড়া শুরু করলাম , আমার বাবা - মা দুজনেই শিক্ষিত তাই তারা আগে থেকেই জানতো কিভাবে গাইড করলে মেডিকেল বা ডেন্টাল ভর্তি পরীক্ষায় ভালো করা যায় । আমিও তাদের কথা শুনতাম কারণ পৃথিবীতে একমাত্র বাবা-মা যারা বিনা স্বার্থে আমদের ভালো কিছু করার অনুপেরনা দেয় । বাবা-মা কখনোই আমাদের ইচ্ছা বা স্বপ্নকে নিয়ে বাণিজ্য করে না ।
আমার বাবা আমাকে বলতো মেডিকেলে ভর্তি পরীক্ষায় ভালো ফলাফল করতে হলে ৯ম শ্রেনীর শুরুতেই ভালো করে পড়াশোনা শুরু করে দিতে হবে । তিনি বলেন Science এর সব বিষয় গুলো খুব মন দিয়ে পড়তে । Biology, Chemistry, Physics এই বিষয় গুলো বুঝে পড়তে বলেছিলেন । আমি তখন যে সকল স্যারদের কাছে প্রাইভেট পড়তাম ওনারাও খুব ভালো ছিলেন সকল বিষয়গুলি ভালো করে বুঝিয়ে দিতেন ।
একজন ভালো ছাত্র বা ছাত্রী হতে হলে আপনাকে অবশ্যই শিক্ষকের কথা মেনে চলতে হবে । ৯ম শ্রেণিতে থাকা অবস্থায় আমি Biology, Chemistry, Physics, এগুলো বুঝে বুঝে করার চেষ্টা করলাম । কারণ এগুলো বিজ্ঞান বিষয় যা মুখস্থ করে কোনো লাভ হয় না হয়তো স্কুলের পরীক্ষায় ভালো নম্বর আসবে কিন্তু ভবিষ্যতে কোনো কাজেই লাগবে না ।
তবে অন্যান্য বিষয় যেমনঃ ইংরেজি, বাংলা, সাধারণ জ্ঞান এগুলো একটু বুঝে মুখস্থ করলেও চলবে । তাই এতটুকু বলতে পারি মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় যারা সফল ভাবে চান্স পায় তাদের এই ব্যাপারটা অনেকটা পূর্ব পরিকল্পিত তাদের প্রথম থেকেই টার্গেট ছিলো তারা মেডিকেলে পড়বে ।
কিন্তু যারা HSC পরীক্ষার ফলাফল পর্যন্ত অপেক্ষা করে এবং ফলাফল পাবার পরে মেডিকেলের জন্য প্রস্তুতি নেয় এঁদের চান্স পাওয়া একটু কঠিন হয়ে যায় । এটা বলছি না যে চান্স পাবে না , তবে তুলনামূলক ভাবে খুব কম পায় কারণ সে নিজেই জানে না তাঁকে সরিয়ে দেবার জন্য অন্য একজন ৯ম-১০ম শ্রেণীতেই প্রস্তুতি নিয়ে ফেলেছে ।
আর আমি বিশ্বাস করি মেধা বলে কিছু নেই সব আমাদের চেষ্টা । অনেকেই বলবে ও মেধাবী তাই চান্স পেয়েছে । আপনার কথা বলছি আপনি নিয়ে কতটুকু চেষ্টা করেছেন কতটুকু এ্যাফোর্ট দিয়েছে আপনার অধ্যায়নের পেছনে আগে সেটা বলুন । হ্যাঁ তবে গাইড করার মতো একজন থাকলে ভালো হয় কারণ আমরা যখন ৯ম-১০ম শ্রেণীতে পড়াশোনা শুরু করি তখন আমাদের চিন্তা ভাবনা গুলোও হালকা থাকে । আমরা আমাদের ভভিষ্যত সম্পর্কে অবগত হতে পারি না ।
এক্ষেত্রে আপনার গার্ডিয়ান খুব বেশি না বুঝলে অন্যদের পরামর্শ নিন যারা আপনার ভালো চাই এবং তদের কথা মেনে চলুন ।
 
সদ্য HSC অটোপাশ পাওয়া  শিক্ষার্থীদের জন্য শুভেচ্ছা - 
মেডিকেল ভর্তির জন্য
যারা মেডিকেলের প্রস্তুতি নিচ্ছ তাদের মোট ৩০০ নম্বরের পরীক্ষা হবে । ২০০ স্কোর আর ১০০ MCQ. মেট্রিকের GPA গুনন ১৫+ HSC এর GPA গুনন ২৫= তোমার স্কোর। মেডিকেলের জন্য GPA কাউন্ট করা হয় অপশনাল সহ। মানে গোল্ডেন A+ আর সাধারণ A+ এর মধ্যে কোন পার্থক্য নেই। SSC তে 5 আর HSC তে 5 থাকলেই তোমার স্কোর ২০০. আর যাদের GPA ৯ এর কম তার পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবেনা। মিনিমাম GPA ৯.০০.

মানবন্টনঃ
জীববিজ্ঞানঃ 30, রসায়নঃ 25,পদার্থ 20, ইংরেজী 15 ও সাধারণজ্ঞান 10 এই 100 নম্বরের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। সময় 60 মিনিট মানে 1 ঘন্টা। চিরায়ত নিয়ম অনুসারে মেডিকেল পরীক্ষা হয় কোন এক শুক্রবারে সকাল 10-11 টায়। প্রতি ভুল উত্তরের জন্য 0.25 মার্কস কাটা যাবে মানে প্রতি 4টি ভুল উত্তরের জন্য 1 মার্কস কাটা যাবে। মেডিকেলের MCQ তে ডাবল অ্যানসার, ট্রিপল অ্যানসার বা ব্লাংক থাকতে পারে। অর্থাৎ 4টি MCQ এর মধ্যে কখনো 2টি বা কখনো 3টি উত্তর থাকতে পারে আবার কখনো উত্তর নাও থাকতে পারে। উত্তর না থাকলে দাগানো যাবেনা। দুটো উত্তর থাকলে দুটো উত্তরই দাগাতে হবে।

কোন বই পড়তে হবে?
মেডিকেলের প্রশ্নগুলোতে মারপ্যাচ অনেক বেশী থাকে। স্বাভাবিকভাবে দেখলে প্রশ্ন সহজ মনেহয়, কিন্তু ভুলটা ধরতে পারেনা নবীনেরা ।
◼️ প্রাণি বিজ্ঞানের জন্য গাজী আজমলের বই পড়তে পারেন (সাথে আব্দুল আলিম স্যার এর বই পড়তে পারেন)
◼️ উদ্ভিদবিজ্ঞানের জন্য আবুল হাসানের বই পড়তে পারেন । (এর পাশাপাশি গাজী আজমল বই পড়তে পারেন)
◼️ রসায়নের জন্যঃ নাগের বই পড়তে পারেন। (এর পাশাপাশি কবীরের বই পড়তে পারেন)
◼️ পদার্থের জন্যঃ ইসহাকের বই পড়তে পারেন (এর পাশাপাশি শাহজাহান তপন পড়তে পারেন)
◼️ ইংরেজীর জন্য Advanced এর গ্রামার ও Apex বইটা ভাল, পড়তে পারেন
◼️ সাধারণজ্ঞানের জন্য Zubairs GK বা যেকোন BCS এর বই পড়তে পারেন
এগুলোই পড়তে হবে এমনটা নয় আপনার নিজস্ব কোনো চয়েস থাকলে সে অনুযায়ী পড়তে পারেন । মন দিয়ে বুঝে পড়লে যেকোনো বই পড়লেই হবে ।  
রেটিনা মেডিকেল ও ডেন্টাল গাইড পড়তে পারেন । PDF Link ➝  bit.ly/RETINA-pdf

কিভাবে পড়তে হবে ?
  • মেডিকেলে ভর্তির জন্য নিখুঁত প্রস্তুতি প্রয়োজন। কোন গাইড বা নোট পড়ে, পড়াকে কমিয়ে নিলে কাজ হবেনা। টেক্সটবুক এর A 2 Z এর উপর দক্ষতা থাকতে হবে। ভর্তি পরীক্ষায় বায়োলজি অনেক গুরুত্বপূর্ণ তাই বায়োলজির বইগুলো দাগিয়ে পড়তে হবে। বায়োলজি থেকে সাধারণত বৈশিষ্ট্য, পার্থক্য, ছক আর উদাহরণ পড়তে হয়। এগুলো মনেরাখা বেশ কষ্টের। ছড়া, ছন্দ সাজিয়ে পড়লে এবং কঠিন বিষয়গুলো বারবার লেখার অভ্যাস করলে সহজে আয়ত্বে আসবে।
  • মূল বই পড়ার সময় প্রতিটি অধ্যায়ের পাশে নিজের নোট লিখে রাখবে, এগুলো শেষ সময়ে তোমাকে সাহায্য করবে। দক্ষতা যাচাই এর জন্য নিয়মিত পরীক্ষা দেবে। এজন্য কোচিং এর প্রশ্ন কালেক্ট করে বাসায় পরীক্ষা দিতে পার, কোচিং এ ভর্তি হয়ে পরীক্ষা দিতে পার, বা স্পেশালিস্টদের কাছে প্রাইভেট পড়ে দিতে পার, যেটা তোমার সামর্থে কুলায় । যদিও এখন সবকিছু অনলাইনে!
  • ভর্তি পরীক্ষা যেহেতু MCQ নির্ভর তাই প্রশ্ন নিয়ে তোমাকে প্রচুর নাড়াচারা করতে হবে। বিগত বছরের প্রশ্নগুলো নিয়মিত দেখে নেবে তাহলে চ্যাপ্টারের কোথা থেকে প্রশ্ন বেশী আসে সে ব্যাপারে তোমার ধারণা পরিষ্কার হয়ে যাবে।
  • ডিসকাস করে পড়া ভর্তি পরীক্ষার্থীদের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ। যারা মেসে থাক, বন্ধুদের নিয়ে বসে একজন অন্যদের প্রশ্ন ধরবে, এভাবে অল্প সময়ে অনেক কিছু শিখতে পারবে। যারা প্রাইভেট পড় তারা নিয়মিত VIVA পরীক্ষা দেবে, এতে তোমার সমস্যাগুলো ট্রেস করতে পারবে। কম সময়ে ভাল প্রস্তুতির জন্য ডিসকাস করে পড়ার কোন বিকল্প নেই।
  • মেডিকেলে গাণিতিক সমস্যা খুব কম আসে। তাই পদার্থ ও রসায়নের থিওরীর দিকে মনোযোগ বাড়াতে হবে । মেডিকেলে উদ্ভিদবিদ্যা ও প্রাণিবিদ্যার মধ্যে প্রাণি থেকে প্রশ্ন বেশী আসে। অন্যদিকে রসায়ন ১ম ও ২য় পত্রের মধ্যে ১মপত্র থেকে প্রশ্ন বেশী আসে। জৈব রসায়ন থেকে (ডেটল,ফেনল, TNT,নাইট্রোগ্লিসারিন,প্যারাসিটামল), বিভিন্ন পরিক্ষার নাম,কিছু ইম্পর্ট্যান্ট বিক্রিয়ার প্রাভাবক,তাপমাত্রা ভাল করে পড়তে হবে! হাজারি স্যার এর বই এর অনুশীলনী প্রশ্ন গুলো ভাল করে পড়তে হবে।  পদার্থের ক্ষেত্রে ২য় পত্র থেকে বেশী প্রশ্ন করতে দেখা যায়। গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়গুলো জেনে নিয়ে ভালমত রপ্ত করতে হবে।পার্থক্য,ছক উদাহরন এর ছোট ছোট ম্যাথ, ব্লক লেটার এর লাইন গুলো গুরুত্ব দিয়ে পড়তে হবে।  ইসহাক স্যার এর বই এর অনুশীলনী প্রশ্নগুলো ভাল করে পড়তে হবে !
  • ইংরেজী এবং সাধারণজ্ঞানের বাধাধরা কোন সিলেবাস নেই। তবে ইংরেজীর Voice, Narration, Transformation and proverb, Correction, Right  form of verb, Article , Parts Of Speech, Synonym -Antonym, Idiom-Phrase থেকে প্রতিবছর প্রশ্ন আসে তাই এগুলোতে ভাল দক্ষতা থাকতে হবে।
  • সাধারণজ্ঞান বাংলাদেশ ও মুক্তিযুদ্ধ, বাংলাদেশ বিষয়াবলি+সাম্প্রতিক ভাল করে দেখতে হবে! প্রতিদিন রুটিন করে সময় বের করে নিয়ে ইংরেজী ও সাধারনজ্ঞান চর্চা বাড়াতে হবে মূল পড়াশোনার পাশাপাশি।
Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url